বাংলাদেশ

কত তথ্য ফাঁস হয়েছে, তা তদন্ত প্রতিবেদনে আসেনি

সরকারি সংস্থা রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসের (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) ওয়েবসাইট থেকে কতটা ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে তা জানা যায়নি। এমনকি তথ্য ফাঁসের ঘটনা তদন্তেও উঠে আসেনি। এ ছাড়া এ ঘটনায় কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগে এক পর্যালোচনা সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ এসব কথা বলেন। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা সংস্থা ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামো ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে।

তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ।

যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক অনলাইন গণমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ গত ৭ জুলাই এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশের একটি সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে। টেকক্রাঞ্চ রিপোর্টটি দক্ষিণ আফ্রিকা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোসকে উদ্ধৃত করেছে। ওই প্রতিবেদনে ৫ মিলিয়ন মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

কতজনের তথ্য ফাঁস হয়েছে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কতজনের তথ্য ফাঁস হয়েছে তা জানা নেই। স্থাপত্য ছিল দুর্বল। কোনো লগবুক ছিল না। তিনি আরও বলেন, ৫০ লাখ মানুষের তথ্য খোলা ছিল, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে ৫০ লাখ মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে কি না, এটাকে অসত্য বলা যাবে না, মিথ্যাও বলা যাবে না।

পর্যালোচনা সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। ঢাকা, ২৪ জুলাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button